হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ সীমান্তে অপরিচিতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। রাত ১০ টার পর সীমান্তবর্তী দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে।
এছাড়া সীমান্তের ৭ টি পয়েন্টে বিজিবির বিশেষ টহল থাকলে চোরাচালান ৮০ ভাগ বন্ধ হবে। এছাড়া সীমান্তে গিযে স্থলমাইন বিষ্ফোরণে আহতের জিজ্ঞাসাবাদ করারও দাবী তুলেছেন বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক এ সভায়।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মো:মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
এতে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি উপ- অধিনায়ক আশিক ইকবাল।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সীমান্তের এপারে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রাত-দিন। তবে ওপারে সরকারী বাহিনী নেই। আছে আরকান আর্মি। তারা মিয়ানমার সীমান্তের পুরো অংশ দখলে নিয়েছেন। এখন উভয় পক্ষ যার যার স্বার্থ নিযে কাজ করে চলেছেন। আরকান আর্মি নিজেদের স্বার্থে ল্যান্ড মাইন বসিয়ে রেখেছে। যাতে এপারের চোরাকারবারীরা সেখানে গেলে আহত হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তে চোরাকারবারী দল বেপরওয়া। বিজিবি প্রানান্ত চেষ্টা করছে। আর বিজিবির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্যে চোরাকারবকরীদের নিয়োগকৃত শ্রমিক বা "চেকার"এর কারণে টহলের লক্ষ্য পূরণ হয় না অনেক ক্ষেত্রে। কেননা সীমান্ত যত চোরাকারবারী তত "চেকার"।
আর চোরাকারবারকে কেন্দ্র করে স্বশস্ত্র ডাকাতদলের সৃষ্টি হয়েছে। পক্ষান্তরে বিজিবি সদস্য সংকটের মাঝেও সীমান্ত পাহারা ও চোরাচালান বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় কাজ করছে।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান ইতু, থানার অফিসার ইনচার্জ মাশরুরুল হক, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই'র উপপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, কৃষি অফিসার এনামুল হক, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দুপক সভাপতি সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ, প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান ও মহিলা মেম্বার জাইতুন নাহার প্রমূখ।
এতে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।